তানভির রিপন :
বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনসংখ্যা ক’জন?মোট ১৬ কোটি জনেরো বেশি প্রায় সতেরো কোটি।এই বাংলাদেশের ২১ টি জেলায় চলতি বছরে বন্যা কবলিত হয়েছে।এই বন্যায় সরকারি হিশেব মতে মারা গেলো ১১৭ জন তন্মধ্যে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন এক মা তার সন্তানকে পিটে নিয়েও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে চেয়েও পারলেন না,ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবার কাছে পৌছুলো।এতো নির্মম মৃত্যু?পুরো দেশের এই ২১ জেলায় ত্রান মন্ত্রণালয়েরর হিশেব মতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩২ লাখ ৮৭ হাজার জন।বন্যার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্তর তো পাওয়া যাচ্ছে না,যা সংগ্রহ করতে হচ্ছে তা সবের আকাশচুম্বী মূল্য। এই বন্যা হওয়ার পেছনে মূলত দ্বায়ী অবশ্যই সরকার নয়,ঐ জেলাগুলোর জন প্রতিনিধিগন,আমলাগনই দ্বায়ী । বিশেষত তারা সরকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে বলে এবং সংসদে তারা গলা ফাটিয়ে নিজ আসনের সমস্যার কথা বলে বাজেট বা প্রস্তাবনা গুলোর বাস্তবায়ন করেন ঠিকই।কিন্তু তারা পুরানো রাস্তায় পুরানো মাল মশলাদি আবার ব্যবহার করে কোনমতে মেরামত করে খালাস।তারপর ঝুকিপূর্ণ এলাকায় আবার সংকট তৈরী হয়।এইসব সরকারের দোষ নয়,তবে সরকার এই দোষীদের কাছ থেকে হিশাব না নেওয়াটায় বড় ধরনের ভুল,শাস্তির আওতায় না আনার ফলে এসব বাড়ছে,বাড়বেও।
কক্সবাজার শহর প্রসঙ্গ:
প্রতিবছর দুবার কি তিনবার করে সীমান্ত হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে।কিন্তু বিজিবির মানবিক মাত্রা এতো বেশি হয়ে যায় যে তারা টহলে থাকা সত্যেও লাখ লাখ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে।এদের জায়গা দিয়ে,জন্ম নিবন্ধন,ভোটার আইডিকার্ড তৈরী করে দিয়ে বিশাল ব্যবসা পাতেন।এসবের জন্য সরাসরি দোষ দেওয়া যাবে না কেনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা এসব অপরাধের সাথে সম্পৃক্তদের?রোহিঙ্গা বাড়ার ফলে কয়েকবছরে অতিমাত্রায় টমটম (ইজিবাইক) বেড়ে গেলো।কোন প্রশিক্ষন ছাড়া টমটম চালায়,প্রতিবছরই লাশের সারি বাড়ে।পৌরসভার বা সড়ক বিভাগের কোন মনোযোগ নেই শহরের প্রধান সড়ক এতো জঘন্যরকম হয়েছে, এই ছোট শহরে সারাদিন জ্যামে আটকে থাকতে হয়।আমি নিজেও একটা দুর্ঘটনার ক্ষত বহন করছি, দুর্ভোগের শেষ নেই।এই টমটমগুলো চালাতে হয় চার্জ করে,এই কারনে শহরের ভেতরে কতোগুলো অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বেড়েছে।এসবের বৃদ্ধির কারনটা বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের আলসেমির কারন।যার কারনে লোডশেডিং এ ভোগতে হচ্ছে।
“যতো চোর, ততো টমটমের ড্রাইভার, ততো ইয়াবা সাংবাদিক।”আরো কতজন কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন পত্রিকার পরিচয় পত্রদ্বারী সাংবাদিক দেখবো?মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এবং মায়ানমার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর একটি দ্বিপক্ষীয় সভা মায়ানমারে শেষ হয়েছে আজ।ঢাকা অফিস, ৪৯ ইয়াবা ল্যাব এর নাম ঘোষনা করবেন সাংবাদিক সম্মেলনে।কক্সবাজার শহরের নাম উঠে আসবে।সেখানে সাংবাদিক জড়ি থাকার কথাও থাকবে,জরিপে উঠেও আসতে পারো আরো সাংবাদিকের নাম।তো এসব ইয়াবা সাংবাদিক পালিত হয় কার পশ্রয়ে?ইতি টানুন।রাষ্ট্রকে ক্ষমা করুণ,প্রজন্মকে শান্তি দিন।পেশাটাকে কলঙ্কিত করা থেকে দূরেরে থাকুন।আগামী সময় কিন্তু কঠিন হয়ে দাড়াবে!
লেখকঃ ছাত্র-সম্প্রচার প্রকৌশল ও গণ সাংবাদিকতা বিভাগ/পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।